Course Content
নারী উদ্যোক্তা
নারী উদ্যোক্তা বলতে এমন একজন নারীকে বোঝায় যিনি নিজস্ব উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করেন এবং পরিচালনা করেন। তারা বিভিন্ন খাতে কাজ করতে পারেন, যেমন প্রযুক্তি, ফ্যাশন, খাদ্য, ই-কমার্স, এবং আরও অনেক কিছু। নারী উদ্যোক্তারা শুধুমাত্র নিজেদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করেন না, বরং সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
0/4
এন্ট্রাপ্রেনিউরনিপ ডেপ্রেলপপ্রেন্ট

কৃচ্ছসাধনা বা নিয়মানুবর্তিতা (Disciplined): একজন সফল উদ্যোক্তার অন্যতম প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য হলো শৃংখলাবদ্ধ বা নিয়মানুবর্তিতা। শৃংখলাবদ্ধ ব্যক্তিত্ব তাদের ব্যবসায়িক কাজ করার দিকে মনোযোগকে শুকনো রাখতে সাহায্য সে পৌঁছাতে পারে যা কিছু লোক তাকে নিজেকে দিয়ে করতে উৎসাহিত করে। সফল উদ্যোক্তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিদিনের নিয়মকে নির্দিষ্ট পথে রাখেন। জীবন ও ব্যবসার সকল স্তরে সাফল্যর গুরুত্বপূর্ণ ‘মূল ই-শৃংখলা’। আপনি যদি নিজের মতো করে নিজেকে অনুশাসন করতে পারেন, তাহলে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।

আত্মবিশ্বাস (Confidence): আত্মবিশ্বাস ব্যবসায় সফল হওয়ার অন্যতম নিয়ামক। উদ্যোক্তাগণ প্রবল আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যবসা শুরু করেন। উদ্যোক্তারা তার ব্যবসা শুরু করে আত্মবিশ্বাসের সাথে। তারা অবশ্যই তাদের ব্যবসা বা উদ্যোগ নিয়ে গর্ববোধ করেন না বরং সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যায়। যাই তারা যা কিছু করে তার মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাসের টেক্সট বহন করেন। আত্মবিশ্বাস নিয়ে তারা কাজে মনোনিবেশ করে এবং সামনে এগিয়ে যায়।

স্বনির্ভরতা (Self-starter): উদ্যোক্তারা ভাবেন যে যদি কিছু করা দরকার হয় তবে তাদের নিজেকেই এটি পুর্ন করা উচিত। তারা তাদের প্রশ্ন শুরু করে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা অন্যের কাছে সর্বদা শক্তির ভাবে, কারো অনুভূতির জন্য তারা অপেক্ষা করে না। অপরের মাথায় যদি কোনো আইডিয়া থাকে তাহলে কারো জন্য অপেক্ষা না করে নিজে থেকেই শুরু করুন।

প্রতিযোগিতামূলক (Competitive): বর্তমানে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুবই প্রতিযোগিতামূলক। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সফল হতে হলে আপনাকে অন্যের চেয়ে অগ্রে ভাল কাজ করতে হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো মানের মানের মান সম্মত পন্য বা সেবা প্রদান করতে হবে। তাই একজন উদ্যোক্তাকে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ধারণ করতে হয়। একজন উদ্যোক্তাকে হতে হয় টেকসই ও কৌশলী।

সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনা (Creative thinking): উদ্যোক্তা মানেই সৃজনশীল মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিচ্ছবি। উদ্যোক্তারা নতুন তথ্যের সন্ধানে ঘুরে ঘুরে যখন সর্বাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, এবং সমস্যার সমাধানেও তারা তাদের সৃজনশীল মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে সমাধান খোঁজ বের করতে হয়। তাছাড়া সৃজনশীল উপায়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা নয় আইডিয়া শুরু করতে পারে। সৃজনশীলতা একজন উদ্যোক্তাকে সফল করে তুলে।

ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতা (Risk-taking ability): একজন উদ্যোক্তা যখন উদ্যোগ গ্রহণ করে তখনই সে ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা নিয়ে তার ব্যবসায় শুরু করে। যেকোনো ব্যবসায় শুরু করলে সেটা সাধারন হলেও পরে আবার স্থগিত হতে পারে। তাই উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা সম্পন্ন হতে হয়। তবে উদ্যোক্তার ঝুঁকি গ্রহণের পূর্বে সঠিক পরিকল্পনা করে তাদের লক্ষ্য স্থির করেন। তাছাড়া একজন সফল উদ্যোক্তা জানে কখন ঝুঁকি নিতে হয় এবং কোন ঝুঁকিটা সহজে বা নিজের পক্ষে উপকারী বা ক্ষতিকারক হবে।

দৃঢ় সংকল্প (Determination): উদ্যোক্তারা ব্যর্থতাকেই শেষ গন্তব্য মনে করে না বরং তারা ব্যর্থতাকে জয়ের সফলতার চুট হিসাবে দেখে। তাই তারা তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা সফল করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর। কোনো কিছুতে সফল না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের চেষ্টা চালিয়ে যায়। সফল উদ্যোক্তারা মনে করেন যে, কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।

নেতৃত্বের ক্ষমতা (Leadership Skills): একজন উদ্যোক্তাকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা গুণাবলী অর্জন প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীদের কাছে উচ্ছ্ব করতে এবং তাদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে হলে উদ্যোক্তাকে নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা থাকতে হবে। সফল উদ্যোক্তাদের তাদের কর্মীদের কীভাবে অনুপ্রেরণা করতে হয় তা জানে তাই ব্যবসায় সমষ্টিগতভাবে বৃদ্ধি পায়।

অধ্যবসায় (Persistence): অধ্যবসায় হলো একজন সফল উদ্যোক্তার সবচেয়ে বেসিক এবং প্রয়োজনীয় গুণ। এটি একটি অনিবার্য গুণ যা জীবনের সমস্ত দূর্দান্ত সাফল্যের চাবিকাঠি। একজন সফল উদ্যোক্তা প্রায়শই অফিসে পৌঁছে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এবং সবার শেষে অফিস থেকে কাজ শেষ করে বের হন। উদ্যোক্তারা তাদের কাজের প্রতি এতই মনোযোগী থাকেন যে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজ থাকেন। তারা কখনই আজকের কাজ আগামীকালের জন্য রেখে দেয় না।

অনুরাগ (Passion): একজন সফল উদ্যোক্তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গুণ হল কাজের প্রতি প্রবল অনুরাগ। উদ্যোক্তা সফল কাজেই আনন্দ খুঁজে পান। তিনি যে কাজ করে আনন্দ পান সেটিই করেন। সুতরাং একজন উদ্যোক্তা তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তার কাজের প্রতি অনুরাগ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোন কাজ উদ্যোক্তার মনে উদ্দীপনা তৈরি করে এবং সে তার কাজকে ভালোবেসে গ্রহণ করেন এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন।

 

Scroll to Top